রাজশাহীর বাঘা উপজেলা যেন বিকাশ ও ইমো হ্যাকার চক্রের স্বর্গ রাজ্য হয়ে উঠেছে। জানা যায় বাঘা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এসব চক্রের সদস্যরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে অবস্থান করছে । এবং প্রতিদিন অনেকে এই চক্রের হাতে প্রতারনার শিকার হচ্ছে । দেশ/বিদেশে বিভিন্ন ব্যক্তির মোবাইল ফোন নম্বরের মাধ্যমে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে সাধারণ মানুষদের নিঃস্ব করে দিচ্ছে এসব চক্র ।
সেই টাকা এই ডিজিটাল ডাকাতরা (হ্যাকার) তাঁদের বিকাশ নাম্বারে টান্সফার করে কিছু অসাধু বিকাশ এজেন্টদের কাছে গিয়ে মোটা অংকের কমিশন দিয়ে টাকা উত্তোলন করে বলে জানা যায়।
তারই ধারাবাহিকটায় ২৬ আগস্ট বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় বাঘা থানার আয়োজনে উপজেলার সকল বিকাশ এজেন্টদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয় ।
সেখানে উপজেলার সকল বিকাশ এজেন্টদের তাঁদের এজেন্ট নাম্বার ও জাতীয় ভোটার আইডি কাডের নাম্বার নেওয়া হয় । এবং কোন গ্রাহক যদি ৩ হাজার টাকার বেশি ক্যাশ আউট করে তাহলে সেই গ্রাহকের জাতীয় ভোটার আইডি কাডের নাম্বার নিতে নির্দেশনা দেন বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ(ওসি) সাজ্জাদ হোসেন ।
বাঘা উপজেলায় বিকাশ কোম্পানিতে কর্মরত মোঃ আরিফ ইসলাম জানান, বাঘা উপজেলাতে মোট ৩০৪ জন বিকাশ এজেন্ট রয়েছে। আমরা তাঁদের সকলকে আজ থানায় হাজির হওয়ার কথা জানিয়েছি। এবং সকলকে এই রেজিস্টেশনের আওতায় আসতে বলেছি ।
এবিষয়ে বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ(ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বাঘা উপজেলায় বর্তমানে ডিজিটাল ডাকাতদের(হ্যাকার) আনাগোনা বেড়ে গেছে। সেই সাথে কিছু অসাধু বিকাশ এজেন্টরা বেশি কমিশনের লোভে সেই ডিজিটাল ডাকাতদের সাথে যোগ দিয়েছে বলে আমরা জানতে পারি । এসব ডিজিটাল ডাকাতদের মুখোশ খুলে দিতে চাই। এবং তাঁদের আইনের আওতায় আনতে চাই। এজন্য উপজেলার সকল বিকাশ এজেন্টদের তাঁদের এজেন্ট নাম্বার ও জাতীয় ভোটার আইডি কাডের নাম্বার থানায় সংরক্ষণ করে রাখা হচ্ছে ।
উল্লেখ্য, রাজশাহীর পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেন, বিপিএম (বার) এর পক্ষ থেকে ইমো ও বিকাশ ব্যবহার করে প্রতারণাকারী হ্যাকারচক্রের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত আছে ।