রমজান আলী। পেশায় দিনমুজর। দুই বিঘা জমি ছিলো সেটা নদী গর্ভে বিলিন হয়েছে। ছেলে মেয়ে সহ সাত সদস্যের পরিবার প্রধান রমজান আলী। এখন পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্রের করাল গ্রাসে তিন বার বাড়িভিটে নদী গর্ভে চলে গেছে। জমি জমা হারিয়ে শেষ আশ্রয় টুকু নেন বাঁধের রাস্তার ধারে। কিন্তু গত দুই বছর আগে সেখান থেকেও তাকে উচ্ছেদ করে দেন পানি উন্নয়ন বোর্ড। এখন থাকার জায়গা নেই, নেই জমি জমা। উপায় না পেয়ে শেষে বছরে দুই হাজার টাকা ভাড়া বাবদ মাহফুজার রহমানের জায়গায় একটি ঘর করে আছেন।
দিনমজুর বাবার পক্ষে পাঁচ ভাই বোন কে পড়া লেখা করাও সম্ভব নয়। যার ফলে ৬ষ্ঠ শ্রেণি পড়ুয়া ছেলে এখন কাঠমিস্ত্রীর কাজ শিখছেন। আবার বড় মেয়েটিও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী। আবেদন করেও এখনো পাননি প্রতিবন্ধী কার্ড।
কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার রাজারভিটা এলাকার মৃত গুদা শেখের ছেলে রমজান আলী।
স্ত্রী রাবেয়া বেগম আক্ষেপ করে বলেন, আমাদের থাকার জায়গা নেই। সরকার আমাদের জন্য ঘর দিয়েছে কিন্তু আমরা বঞ্চিত হয়েছি।
পাশের বাড়ীর মাজেদা বেগম বলেন, বাড়ি নাই, ঘর নাই অন্যের জায়গায় ঘর তুলে আছে এখন যদি সরকারের পক্ষ থেকে একটি ঘর দেয় তাহলে থাকার জায়গা টা নিশ্চিত হত।
রমজান আলী বলেন, ২০বছর ধরে বাঁধে আশ্রয় নিয়ে একটি ঘর তুলে ছিলাম। কিন্তু এখন সেটাও নেই। অন্যের জায়গায় থাকতে হয়। এখন যদি আমাকে একটা থাকার ঘর দিত তাহলে খুব ভালো হত। সরকারের কাছে আমার দাবী আমাকে একটি ঘরের ব্যবস্থা করে দেন।