আধুনিকতার জাতাকলে কালের বিবর্তনে ক্রমেই দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে উত্তরের জেলা গাইবান্ধার ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্প। ভুক্তভোগীরা বলছেন, মেলামাইন, প্লাস্টিক ও অ্যালুমিনিয়ামের পণ্যের ভিড়ে হারিয়ে যেতে বসেছে শত শত বছরের ঐতিহ্যের মৃৎশিল্প। শত কষ্টের পরেও পূর্বপুরুষদের ঐতিহ্য এখনও ধরে রেখেছে অনেকেই।
কেউবা এই শিল্পে উপার্জন কম বলে হয়ে পরেছে শহরমুখী, কাজ করছে শিল্পকারখানা সহ বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে। যার ফলে মৃৎশিল্পের ভবিষ্যত দিন দিন পতনের দিকে ঢলে পড়ছে।
এসময় মৃৎশিল্পীরা বলেন, প্লাস্টিক, মেলামাইন ও অ্যালুমিনিয়ামের জিনিসপত্র বের হওয়ার কারণে মাটির তৈরি জিনিসপত্র এখন আর আগের মতো চলে না। গ্রামে গ্রামে ভারে করে ঘুরে টুকিটাকি বিক্রি করে কোনো মতো সংসার চলছে।
এখন শহর কিংবা গ্রাম ঘরে ঘরে বেড়েছে আধুনিক সামগ্রীর ব্যবহার। যার কারণে মাটির তৈরি তৈজসপত্র এখন তেমন একটা বিক্রি হয় না। ফলে মৃৎশিল্পীরা পরিবার নিয়ে আর্থিক সঙ্কটে দিন কাটচ্ছেন।
কুমোর পাড়া পরিদর্শন কালে মৃৎশিল্পীরা জানায়,, গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী এ পেশার শিল্পীদের বাঁচিয়ে রাখতে সরকারি সাহায্য সহযোগীতা, মাটি কাটা মেশিন, পানি তোলা পাম্প সহ আধুনিক যন্ত্রপাতি সাহায্য চান তারা। তারা আরো বলেন সরকার যদি আমাদের ঋণ বা অর্থের ব্যবস্থা করে দেয়, তবেই টিকে রাখা যাবে গ্রাম বাংলার এই ঐতিহ্যবাহি শিল্পটি।