মহান স্বাধীনতা আর বিজয় দিবস এলেই ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলার খুনিয়াদিঘি স্মৃতিসৌধে চলে ঘষামাজা। তাও আবার নামে মাত্র। বছর না ঘুরতেই নষ্ট হয়ে যায় সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ।
এদিকে চলছে বিজয়ের মাস ডিসেম্বর। তাই বিজয় দিবস পালন উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের রক্তে রাঙানো খুনিয়াদিঘি স্মৃতিসৌধে চলছে ঘোষা-মাজা করে পরিষ্কারের কাজ। যদিও বছরজুড়ে এ দিঘির আর কোন কদর থাকে না থাকেন কারো খোঁজ নেওয়ার। দিঘি সহ স্মৃতিসৌধে
ময়লা আবর্জনায় ভরে ওঠে। এ ছাড়া মাদকসেবীরা আড্ডা দেওয়ায় স্মৃতিসৌধ জুড়ে পড়ে থাকে ফেন্সিডিল এর খালি বোতল ও নেশা করার নানা উপকরণ ।
উপজেলা পরিষদ থেকে আধা কিলোমিটার দূরে অবস্থিত খুনিয়াদিঘি স্মৃতিসৌধ এলাকায় মঙ্গলবার বিকালে গিয়ে দেখা যায়, পুরোনো জরাজীর্ণ স্মৃতি সৌধটির সীমানা প্রাচীর পরিষ্কার করছেন দুজন শ্রমিক। তাঁদের সঙ্গে কথা হলে তাঁরা জানান, ১৬ই ডিসেম্বর উপলক্ষে সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ চলছে। প্রাচীর ময়লা পরিষ্কার করে তাতে রং দেওয়া হবে।
স্মৃতিসৌধটির প্রাচীরের গ্রিলগুলো জীর্ণ অবস্থায় দেখা গেছে। প্রাচীর জুড়ে প্রায় ৫১টি গ্রিল স্থাপন করা হলেও বর্তমানে রয়েছে ৩৪টি। সেগুলোর মধ্যে আবার অনেক গ্রিলের অর্ধেক করে নেই।
স্থানীয়রা জানান, মাদকসেবীদের টাকার অভাব হলেই তাঁরা রাতের আঁধারে গ্রিল খুলে বিক্রি করে দেন। প্রশাসনের সঠিক তদারকির অভাবে এখানে রাত-বেরাতে মাদকসেবীরা আড্ডা দেওয়ার সাহস পান। প্রশাসনের তদারকি বাড়ালেই এখানে মাদকসেবীদের আড্ডা থাকবে না। তখন এর মান রক্ষা হবে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির স্টিভ বলেন, ‘আপাতত খুনিয়াদীঘি স্মৃতিসৌধের প্রাচীর সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ চলছে। পরবর্তীতে নিরাপত্তাসহ আরও উন্নয়ন বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’