মোর পছন্দের প্রার্থীক জিতাবার তানে মুই ভোট দিবা আইচ্চু। মোর একটা ভোট না পাইলে মোর প্রার্থী হারে যাবার পারে। ওইতানে যত কষ্ট হোক ভোট দিয়া মোর পছন্দের যোগ্য প্রার্থীক মুই জিতাম। এভাবে নিজের সচেতনতার কথাগুলো বলছিল ভোট দিতে আসা শ্রী ভবেশ চন্দ্র।
চতুর্থ ধাপের নির্বাচনে ঠাকুরগাঁও ভুল্লী বাজারের পাশে একটি কেন্দ্রে ভোট দিতে এসে এসব কথা বলেন প্রতিবন্ধী ভবেশ চন্দ্র।
তিনি আরো বলেন, ভোট দিতে এসে মনে করেছিলাম ভোট দিতে পারবো না। কারণ আমাকে হুইল চেয়ারে করে বেড়াতে হয়। পরে পুলিশ ভাই এর সহযোগিতায় খুব সুন্দর ভাবে ভোট দিয়েছি আমি। পুলিশ যে জনগনের বন্ধু তা আবার পুলিশ প্রমান করে দিল। ভোট দেওয়ার জন্য পুলিশ সব ধরনের সহযোগিতা করেছে এজন্য উনাকে ধন্যবাদ জানাই। সকল প্রতিবন্ধী ও অসহায় মানুষকে পুলিশ যেন এভাবেই সহযোগিতা করে এমন আশা ব্যাক্ত করেন তিনি।
একজন সচেতন ভোটার হিসেবে প্রতিবন্ধী ভবেশ চন্দ্র বলেন, প্রতিটি ভোট অনেক মূল্যবান। আমার একটি ভোট না পাইলে আমার পছন্দের প্রার্থী বিজয়ী নাও হতে পারে। সেজন্যই আমার প্রার্থীকে জয়ি করতেই আমি ভোট দিতে এসেছি। সৎ যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার জন্য এবং সকলকে অবশ্যই ভোট দেওয়ার জন্য বলেন।
পুলিশ কন্সটেবল এনামুল হক বলেন, পুলিশ জনতার বন্ধু। আর ভোট কেন্দ্রে আসা সকল প্রতিবন্ধী, বৃদ্ধ মানুষের সহযোগী করা আমাদের দায়িত্ব। সেই দায়িত্ব থেকেই উনাকে সহযোগীতার জন্য এগিয়ে গিয়েছি।
উল্লেখ্য, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে সদর উপজেলার ২০ টি ইউনিয়নে মোট প্রার্থীর সংখ্যা ৯৬০ জন। চেয়ারম্যান পদে ৭৩ জন, সংরক্ষিত মহিলা আসনে ২০৯ জন, সাধারণ সদস্য পদে ৬৭৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন।
ঠাকুরগাঁও জেলা নির্বাচন অফিসের তথ্য মতে, সদর উপজেলার ২০টি ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৬৯ হাজার ৪৩৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোট ১ লাখ ৮৬ হাজার ৯৮৮ জন ও নারী ভোটার ১ লাখ ৮২ হাজার ৪৪৫ জন। মোট ভোট কেন্দ্র ১৮৮ টি।