ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনোত্তর সহিংসতা ও প্রতিপক্ষের হামলায় আহত নাইম শেখ (২৫) ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে।
২৭ ডিসেম্বর সোমবার সন্ধ্যায় বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের ধোপাকান্দিগ্রামের মোন্তাজ শেখের ছেলে নাইম শেখকে প্রতিপক্ষরা হামলা করে আহত করে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরদিন সকালে প্রতিপক্ষ শান্ত রায়ের বাড়ি ভাংচুর করে নাইম শেখের পক্ষের লোকজন।
কিন্তু স্থানীয় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সংখ্যালঘুদের উপর কোন হামলা বা ভাংচুরের ঘটনা না ঘটলেও একটি ইউটিউব চ্যানেলে সংখ্যালঘুদের উপর হামলার ভুয়া সংবাদ প্রকাশ করে এলাকায় তোলপাড়ের সৃষ্টি করে। পরে ওই নিউজের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে এলাকাবাসী।
৩১ ডিসেম্বর শুক্রবার বিকালে উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের ধোপাকান্দি গ্রাম উন্নয়ন সমিতির কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুজ্জামান মোল্যা, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রুঙ্গু মোল্যা, উজানী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বদিউজ্জামান মোল্যা, স্থানীয় গণ্যমাণ্য বদুরুজ্জামান এজাজ।
এসময় সংখ্যালঘু নৃ গোষ্ঠীর নেতৃবৃন্দের মধ্যে জয়দেব রায়, কৃষ্ণ পদ রায়, নিখিল পোদ্দার, দিপক রায়, ৬ নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ দিনো রায়, বক্তব্যে জানান, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নাইম শেখকে শান্ত রায় অতর্কিতভাবে হামলা করে আহত করেছে। এই ঘটনায় শান্ত রায়ের বাড়িতে হামলা করলেও তেমন কোন ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়নি । এই ঘটনায় সংখ্যালঘু নৃ-গোষ্ঠির উপর কোন হামলা হয়নি।
আর শান্ত রায়ের ভাই গুম হয়েছে এব্যাপারে আমরা কিছুই যানিনা। এলাকার কিছু স্বার্থান্বাসি মহল একটি ছোট ঘটনাকে বড় করে প্রচার করে এলাকায় অশান্তির সৃষ্টি করেছে। আমরা হিন্দু মুসলিম একসাথে একই পরিবারের মতো বসবাস করি। এখানে শান্তি শৃংখলাভাবেই বসবাস করি।
বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুজ্জামান মোল্যা জানান, নির্বাচনত্তোর সহিংসতায় একজন আহত হয়েছে। কিন্তু কোন নৃ-গেষ্ঠির উপর হামলা হয়নি। কোন অপৃতিকর ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা নেই।