কুড়িগ্রামের চিলমারীতে হঠাৎই বেড়েছে কাঁচামরিচের দাম । উপজেলার বিভিন্ন বাজারে খুচরা বাজারে কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৮০ টাকা দরে। ক্রেতাদের অভিযোগ হঠাৎ করেই বাজারে কাঁচামরিচের দাম কেজিতে ৪০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে।
ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম সংকট তৈরী করে অধিক মূল্যে মরিচ বিক্রি করছে বলে ক্রেতাদের দাবী। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, মরিচের ক্ষেতে রোগ-বালাইয়ের কারনে আমদানি কম থাকায় কাঁচামরিচের দাম বেড়েছে। আমদানি কম হলে দাম আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
মঙ্গলবার উপজেলা থানাহাট বাজার ঘুরে দেখা যায়,মরিচের দাম বৃদ্দির সাথে সাথে পেয়াজের দামও বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। প্রতি কেজি পেয়াজ এখন বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০টাকায়।আগে পেয়াজ বিক্রি হয়েছিল ২০ থেকে ৩০ টাকা।
পাইকারী সবজি ব্যবসায়ী বাদশা মিয়া বলেন, বাজারে মরিচের সরবরাহ কমে যাওয়ায় বাজারে কাঁচামরিচের দাম ওঠানামা করছে। বাইরে থেকে বাজারে ঠিকমত মরিচ এলে দাম কমে,আর না এলে দাম বেড়ে যায়। কুড়িগ্রাম , রাজারহাট, বড়বাড়ীসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে মরিচ নিয়ে এসে ব্যবসায় করছি তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে ।খুচরা ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলাম বলেন, মরিচের গাছে রোগ বালাই দেখা দেয়ায় মরিচ উৎপাদন কমেছে ফলে খুচরা মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে।
থানাহাট ইউনিয়নের থানাহাট বাজার বাজারের সবজি ব্যবসায়ী আহাদ আলী, ছকমল হোসেন ও নান্টু জানান, গত কয়েকদিনে কাঁচামরিচের দাম ৪০-৫০টাকা বেড়ে আজ আমরা পাইকারী মূল্যে ৭৫ টাকা কেজি হারে মরিচ কিনেছি। আর ক্রেতাদের নিকট খুচরা বিক্রি করছি ৮০ টাকা দরে।
বাজারে আসা সবজি ক্রেতা আলমগীর হোসেন ও আবু কালাম বলেন, গত কয়েক দিন আগে কাঁচা মরিচের কেজি কিনেছি ২০ থেকে ৩০ টাকা। আজ সে মরিচ কেজিতে ৩০ টাকা থেকে বেড়ে ৮০ টাকা হয়েছে। সরবরাহ সংকটের কথা বলে বেশি দামে মরিচ বিক্রি করছে ব্যাবসায়ীরা বাজারের প্রতিটি দোকানে পর্যাপ্ত মরিচ রয়েছে। কয়েকদিনের ব্যাবধানে কীভাবে কেজিতে ৫০টাকা বাড়ল এর কোনো সঠিক জবাব নেই ব্যবসায়ীদের।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.মাহবুবুর রহমান বলেন, বাজারগুলোতে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। বাজারে কাঁচামরিচের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়টি আমার জানা নেই, খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।