নেত্রকোনার-১ (কলমাকান্দা-দুর্গাপুর) আসনের তিনবারের সাবেক সাংসদ ও দুর্গাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জালাল উদ্দিন তালুকদার হত্যা মামলার বর্তমান পরিস্থিতি ও আওয়ামী লীগের স্থানীয় রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
সোমবার বিকেলে ‘জালাল তালুকদার হত্যার প্রতিবাদ পরিষদের আয়োজনে’ তাঁর নিজ বাসার পাশের আঙিনায় এ কর্মসূচি হয়।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মোতালেবের সভাপতিত্বে ও দুর্গাপুর পৌরসভার ৪ নস্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে জালাল উদ্দিন তালুকদারের একমাত্র ছেলে শাহ কুতুব উদ্দিন তালুকদার মূল বক্তব্য পেশ করেন।
পরে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন অর রশিদ, চণ্ডীগড় ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুছ, বিরিশিরি ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কমিশনার ও জালাল তালুকদার হত্যার প্রতিবাদ পরিষদের সদস্য ইব্রাহিম খলিল টিপু, পৌর কাউন্সিলর আল আমিন মিয়া, সংগঠনের উপদেষ্টা বুলবুল বিশ্বাস, ২ নম্বর ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক আবু সিদ্দিক প্রমুখ।
শাহ কুতুব উদ্দিন বলেন, ‘২০১২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর সকালে জালাল উদ্দিন তালুকদার তাঁর নিজ বাসায় রহস্যজনকভাবে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। এরপর কুতুব উদ্দিন বাদী হয়ে স্থানীয় থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলাটি প্রথমে দুর্গাপুর থানা পুলিশ এবং পরে পর্যায়ক্রমে ডিবি, সিআইডি ও পিবিআই তদন্ত করে। কিন্তু এসব সংস্থার তদন্ত প্রতিবেদন সন্তোষজনক না হওয়ায় তিনি উচ্চ আদালতে আপিল করেন। তাঁর আপিল আবেদনের প্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন। সে প্রেক্ষিতে দুর্গাপুর আমলী আদালতের জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তদন্তকাজ শেষ করেন।
কুতুব উদ্দিনের দাবি, তদন্তে হত্যার জন্য তাঁর সৎমা আয়েশা বেগমকে সুনিদৃষ্টভাবে অভিযুক্ত করা হয়েছে। বিচার বিভাগীয় তদন্তের প্রতিবেদন বিচারিক আদালত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে প্রেরণ করা হয়।তিনি অভিযোগটি আমলে নিয়ে দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া শেষ করার দাবি জানান।