নেত্রকোনা এবারও বারহাট্রায় শিক্ষককের বিরুদ্ধে আন্দেলনে নেমেছে বারহাট্রা সরকারী সি কেপি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
গেল মঙ্গলবার শিক্ষার্থীদের নির্যাতনও অসৌজন্যমুলক আচরণের অভিযোগে শিক্ষক মাহবুব সারের অপসারনের দাবীতে বিদ্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ ও মানববনাদন করেছে শিক্ষার্থীরা।
তবে প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জানান, শিক্ষার্থীরা নিয়মিত ক্লাসে না আসায় চাপ প্রয়োগ করায় ফুসেউঠেছে । এতে শিক্ষকের দোষের কিছু না । এর আগেও ২০১৬ সালে একই দাবীতে বিভোক্ষ ও মানববন্দন করেছে শিকার্থীরা।
নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক নবম ও দশম শ্রেণীর দুই শিক্ষাথীদের সাথে কথা বললে তারা জানান, মুহাম্মদ মাহবুবর রহমান স্যার আমাদের সহকারী ক্রীড়া শিক্ষক । তিনি আমাদের কারনে অকারণে নির্যাতন ও অশোভন আচরণ করেন । তাই আমরা বারহাট্রা নিবার্হী কমকর্তা বরাবরে অভিযোগ করেছি এবং মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছি । আমাদের দাবী একটাই এই শিক্ষকের অপসারণ চাই ।
এ ব্যাপারে স্থানীয় সুবোদ রঞ্জন সাথে কথা বললে তিনি বলেন, মাহবুব স্যার অত্যন্ত ভাল শিক্ষক । বাহিরে কিছু শিক্ষক আছে তাদের প্রাইভেট পড়ার অসুবিধা হয় তাই শিক্ষার্থীদের প্রভাবিত করে এ আন্দোলনে সহযোগিতা করছে বলে জানান তিনি।
এই বিষয়ে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সেয়দ আব্দুর রউফ বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষক কের নাম মুহাম্মদ মাহবুব রহমান । তিনি ২০০৩ সালে ২৫ অক্টোবর থেকে বিদ্যালয়ে সহকারী ক্রীড়া হিসাবে কর্মরত। আপনি জানবেন যে বারহাট্রা সরকারী সিকেপি পাইলট উচ্চবিদ্যালয় একটি প্রাচীন সুনামধন্য শিক্ষাপ্রতিণ্ঠান । দীর্ঘদিন করোনার কারনে বন্ধ থাকায় স্কুলের উপস্থিতি কমে গেছে । স্কুলের শৃখলা ও গতি ফিরে আনার জন্য নিয়মিত ক্লাসে ফিরে আনর জন্য একটু চাপ দেওয়ায় শিক্ষার্থীরা এই আন্দেলনমুখী হয়েছে । আর আন্দোলনের পিছনে একটি দুষ্ট চক্র কাজ কারছে বলে আমি মনে করি । আমি চাই সময় মত শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসুক ও পাঠ গ্রহণ করুক । তাহলে শিক্ষার্থীরা তাদের ভবিষ্যৎ গড়তে পারবে ।
তবে অভিযুক্ত শিক্ষক মুহাম্মদ মাহবুব রহমান জানান শিক্ষার্থীরা সময় মত স্কুলে আসে না । আসলে ও এসম্বলিতে অপরিচ্ছন্ন পোষাক পরিধান করে আসে । স্কুলের শৃঙ্খলা ও গতি ফিরে অনার জন্য এবং সঠিক সময়ে ক্লাসে উপস্থিত থাকার চাপ প্রয়োগ করার কারনে, এমনকি কিছু প্রাইভেট শিক্ষকদের স্বার্থের ব্যাঘাত হয় বিধায় শিক্ষার্থীদের দিয়ে আমার বিরুদ্ধে এই আন্দেলন।
এদিকে বারহাট্ট উপজেলা নিবার্হী কমকর্তা এস এম মাজাহারুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে আন্দেলন শান্ত করা হয়েছে । এ ছাড়া একটি তদন্ত কমিটি করা গঠন করা হয় । তদন্তর সাপেক্ষে আমরা পরবর্তীতে ব্যাবস্থ নিব।