সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ, সাটুরিয়ার রবিনের অবস্থা আশঙ্কাজনক
মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া উপজেলার ঘিওর গ্রামের ছেলে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সীতাকুন্ড ফায়ার স্টেশনের ফায়ারফাইটার জনাব মো. রবিন মিয়া।অগ্নি দুর্ঘটনায় অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ার কারনে শেখ হাসিনা বার্নে চিকিৎসাধীন আছেন।
সীতাকুণ্ডের কনটেইনার ডিপোতে আগুনের ঘটনায় দগ্ধ ফায়ার ফাইটার ববিন মিয়ার শরীরের প্রায় ৫৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। আশংকাজনক হওয়ায় হেলিকপ্টার যোগে চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ হতে তাকে শেখ হাসিনা বার্নে নেওয়া হয়। তার শারীরিক অবস্থা দেখে প্লাস্টিক ও বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের অফিসিয়াল ফেইসবুক পেইজের মাধ্যমে ও স্থানীয়ভাবে রবিন মিয়ার দগ্ধ ছবি দেখে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ইন্সপেক্টর ইউনুস আলী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ ফায়ার ফাইটার রবিন মিয়া সহ বেসামরিক ৫ জনকে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। সেখান থেকে সাতটি অ্যাম্বুলেন্সে করে তাদেরকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্নে আনা হয়েছে। এখানে তাদের চিকিৎসা চলছে।
শেখ হাসিনা বার্নের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন ফোনে জানান, আমাদের এখানে চট্টগ্রাম থেকে ৭ জন এসেছেন। তাদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ পর্যন্ত আমাদের এখানে দগ্ধ ১৪ জনকে আনা হয়েছে। সবারই ইনহেলেশন (শ্বাসনালী) বার্ন রয়েছে। তারা কেউই শঙ্কামুক্ত নন।
এদিকে সোমবার সকাল থেকে দগ্ধ ১৪ জন শেখ হাসিনা বার্নে এসেছেন। তারা হলেন— খালেদুর রহমান (৫৮), অবসরপ্রাপ্ত পুলিশের এএসপি ও বিএম ডিপোর সিকিউরিটি ম্যানেজার এ কে এম মাকফারুল ইসলাম (৬৫) ও উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামরুল ইসলাম (৩৭), বিএম ডিপোর ইমপোর্ট সুপারভাইজার শেখ মাইনুল হক (৪১), শ্রমিক আমিন (২২), কনটেইনারের গাড়িচালক মো. রাসেল (৩৯) ও ফারুক হোসেন (৪৫), ফায়ার ফাইটার গাউসুল আজম (২২) ও রবিন মিয়া (২২), ইঞ্জিনিয়ার মাসুম মিয়া (৩৪), রিসিভার ফরমানুল ইসলাম (৩০), রুবেল মিয়া (৩৪), ফারুক (১৬) ও হোসেন মহিবুল্লাহ (২৭)।
উলেক্ষ্য, গত শনিবার (৪ জুন) রাতের বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪০ জনের বেশি মৃত্যুর খবর মিলেছে। আহত হয়েছেন চার শতাধিক। তাদের মধ্যে ডিপোর শ্রমিক, স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ও সেনাবাহিনীর সদস্য রা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ।