গোয়াইনঘাটে ফের বন্যায় ১২সালের রেকর্ড ভেঙ্গে তলিয়ে গেছে ৫/৭ টি ইউনিয়ন
সিলেট’র গোয়াইনঘাটে ৪র্থ বারের বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। ১৫ মে বন্যার ক্ষতি পুরোন না হতেই আবারও বন্যা, ২০১২ সাল’র থেকেও বড় হয়েছে আজ( ১৫ জুন) বন্যা। ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সারী ও পিয়াইন নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল-কলেজ, রাস্তাঘাট, ঘরবাড়িসহ বিভিন্ন স্থাপনা। ঝুকিঁপূর্ণ হয়ে পড়েছে নিন্ম অঞ্চলের মানুষ, আতঙ্কিত মানুষ ছুটছে নিরাপদ আশ্রয়ে।
গোয়াইনঘাট উপজেলায় টানা তিন দিনের বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে বন্যা শুরু হয়। বিগত দিনে বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হলেও ১৪ জুন গভীর রাত থেকে নদীগুলোর পানি পূনরায় বৃদ্ধি পায়। বুধবার ভোর থেকে সারী ও পিয়াইন নদীর উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। টানা ৪৮ ঘন্টা সর্বোচ্ছ বৃষ্টিপাত হয়েছে।
গোয়াইনঘাট উপজেলার প্রায় ৭/৮টি ইউনিয়ন পানি বন্ধি তার মধ্যে ৩নং পুর্ব জাফলং, পশ্চিম জাফলং, লেঙ্গুরা সহ আরো কয়েকটি ইউনিয়ন’র মানুষ পানি বন্ধি। বেশি বিপদ গ্রস্থ ৩নং পুর্ব জাফলং ইউনিয়নের সানকী ভাঙ্গা, আসাম পাড়া, আসাম পাড়া হাওয়র, মধ্যনগড়,নতুন বাজার, নাইন্দা,তিতকুল্লি, বুধিগাও সহ আরো কয়েকশ গ্রাম। বন্যার পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় পানিবন্দি মানুষের মাঝে আতংক দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে গোয়াইনঘাট’র হাওড় অঞ্চলের মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে। নারী, শিশু ও গবাদি পশু নিয়ে ছুটছেন নিরাপদ আশ্রয়ের দিকে। কেউ ঘরের মধ্যে স্ত্রী,সন্তানদের নিয়ে খেয়ে না খেয়ে অবস্থান করছে। পানি বন্ধি মানুষ সরকারের প্রতিনিধি সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা কর্মিদের পাশে দাড়ানোর জুর দাবি জানিয়েছে।