এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয় বিদ্যুৎ কুমার দাস। পরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় ১৯তম স্থান অর্জন করেন ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিষয়ে চান্স পাই। কিন্তু দারিদ্র্যতার কারণে চান্স পেয়ে ভর্তি ও ভর্তির পড়ে কিভাবে পড়ালেখা চালিয়ে যাবে তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন তার বাবা-মা।
বিদ্যুৎকে নিয়ে ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলেও অর্থাভাবে পড়ালেখা অনিশ্চিত বিদ্যুতের’ এই শিরোনামে ‘দৈনিক যুগান্তর’ অনলাইনে একটি সংবাদ প্রকাশের পর বিদ্যুতের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি খরচ ও তাকে একটি পার্ট টাইম চাকরির ব্যবস্থা করে দেবার দ্বায়িত নেন মুঞ্জু হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালক ডাঃ মিঠুন কুমার।
যানা যায়, রাজশাহীর বাঘা উপজেলার সব চেয়ে বড় কমিউনটি ফেসবুক গ্রুপ “আমাদের বাঘা” গ্রুপের সিনিয়র এডমিন ও পরিচালক মিঠুন কুমারের সুভাকাংখি ও স্নেহভাজন সাকিব রহমান নিউজটি দেখার পর সোমবার (০৫-০৯-২০২২) মিঠুন কুমারকে এই বিষয়ে অবগত করেন। মিঠুন কুমার ততক্ষণাত বিদ্যুৎকে তার নিজ অফিসে ডেকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়।
এই সময় উপস্থিত ছিলেন, বাঘা প্রেস ক্লাবের সভাপতি আবদুল লতিফ মিঞা, সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ কমিটির সভাপতি সুজিত কুমার বাকু পান্ডে, বিদ্যুৎ কুমারের বড় ভাই পরিমল কুমার প্রমুখ।
ডাঃ মিঠুন কুমার বলেন, আমি সব সময় মানুষের পাশে থাকতে চাই মানুষের উপকারে আসতে চাই। আর এই সকল উপকার করার মধ্যে অন্য রকম ভাললাগা কাজ করে । আমার দ্বারা যদি বিদ্যুৎ মুখে একটু হাসি ফুটাতে পারি, এর চাই বড় পাওয়া আর কিছু হতে পারে না। সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় এমন একটা ভালো কাজে যুক্ত হতে পেরে আমার অনেক ভালো লাগলো। সব সময় এমন ভালো কাজে সমাজের বৃত্তবানরা এগিয়ে আসলে বিদ্যুৎতের মত মেধাবি ছাত্ররা অনেক দূর এগিয়ে যাবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়া বিদ্যুৎ কুমার দাস বলেন, প্রথমে আমি বাঘা মুঞ্জু হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালকে অনেক ধন্যবাদ জানাই কারণ তিনি যদি আজ এ ভাবে আমার পাশে না দ্বারাতো তাহলে হয়তো বিশ্ববিদ্যালয়ে আর ভর্তি হতে পারতাম না। আমি ডা. মিঠুন কুমার দাদার প্রতি অত্যন্ত খুশি এবং কৃতজ্ঞ।