জমেলা চাচি কেমন আছো??
ভালো আছি বাবা, প্রধানমন্ত্রী থাকার জন্য একটা ঘর দিছে। সেখানে থাকার অধিকার পাইছি।
আর পোলাডা পাকা রাস্তায় ভ্যান চালাচ্ছে এখন আর থাকা খাওয়ার কোন সমস্যা নাই।
হ্যাঁ অধিকার। থাকার অধিকার, ভাতের অধিকার, ভালোভাবে বাঁচার অধিকার।
আজকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস।
এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় হল—- (আমরা আছি একসাথে কঠিন সিদ্ধান্তে)
মানুষ জন্মগতভাবে স্বাধীন বলেছেন ( যা যা রুশো ) অধিকার
( fundamental rights?
আত্ম বিকাশের জন্য কিছু সুযোগ সুবিধা দাবি যার নৈতিক এবং আইনগত ভিত্তি আছে।
মানবাধিকারের ( human rights) উৎস হচ্ছে আন্তর্জাতিক আইন ১৯৪৮ সালের ১০ই ডিসেম্বর (universal declaration of human Rights) নামে যে ঘোষণা প্রদান করে এটাকেই মানবাধিকার হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
(Man are born and always continue free and equal in all respect to their rights )
অর্থাৎ মানুষের অধিকার বলতে বোঝায়। মানুষ স্বাধীন হয়ে জন্মগ্রহণ করে এবং তার সহজাত গুণাবলী ও বুদ্ধির পরিপূর্ণ বিকাশ ঘটাতে পারে তৎসঙ্গে অন্যান্য প্রয়োজন পূরণ করতে পারে।
মানব অধিকারের সংজ্ঞা —–
ব্যক্তি সমাজ জীবনের কাছে যা কিছু দাবি করে এবং যা না হলে তার ব্যক্তিত্ব বিকাশের পরিপূর্ণতা সম্ভব নয় বা– ব্যক্তিত্ব বিকাশের জন্য অপরিহার্য যা প্রতিটি মানুষের জীবনে ব্যাপ্তি ফুটিয়ে তোলা সম্ভব নয় সেই সুযোগ-সুবিধা সমষ্টি হচ্ছে মানবাধিকার।
মানবজাতির সদস্য হিসাবে মানুষ কতগুলি স্বাভাবিক এবং শাশ্বত অধিকার ভোগ করে থাকে। অর্থাৎ মানুষের বাক স্বাধীনতা এবং চিন্তা চেতনাকে স্বাধীনভাবে প্রকাশ করার স্বাধীনতা।
জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র নারী-পুরুষ নির্বিশেষে জাতিসংঘের ঘোষনা অনুসারে প্রতিটা মানুষ সম্পূর্ণ স্বাধীন এবং সমান মানবাধিকারের এই অধিকারগুলো ছাড়া মানুষ সুস্থ ও স্বাভাবিকভাবে জীবন যাপন করতে পারে না এবং একজন মানুষের সত্তার বিকাশ ঘটতে পারে না।
সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের মানবাধিকার কেন্দ্র, মানবাধিকার বলতে সেইসব অধিকার কে চিহ্নিত করেছেন, যেগুলি আমাদের প্রকৃতির শাশ্বত এবং সার্বজনীন রূপ যা মানুষের মনুষ্যত্বের পরিপূর্ণ বিকাশ ঘটায়। এবং প্রকৃতির সান্নিধ্যে সহজাত গুণাবলী ছাড়া আমরা মানুষ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারিনা।( অধ্যাপক হন্টিং এর মতে ) মানুষের সহজাত ও সম সুযোগ সৃষ্টির জন্য এবং সৃষ্টির ফলে মানুষের যে মূল্যবোধের বিকাশ ঘটে সেটাই হলো মানবাধিকার। মানবাধিকার সেইসব নূন্যতম অধিকার যেগুলি মনুষ্য পরিবারের সদস্য হিসেবে প্রতিটি ব্যক্তি রাষ্ট্র বা অন্যান্য সরকারি কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থেকেও ভোগ করে।
সাধারণ অর্থে মানবাধিকার হলো সাধারণ অধিকার। কিন্তু অধিকতর নির্দিষ্ট অর্থে মানবাধিকার হলো সেইসব অধিকার যা মানুষ হওয়া শর্তে একজন মানুষ স্বাচ্ছন্দে ভোগ করতে পারে এবং একটি ব্যক্তির জীবন সাম্য স্বাধীনতা ও মানবতা রক্ষা করে। তাহলে আমরা উপরুক্ত সংজ্ঞা গুলা থেকে দেখি মানবাধিকার হচ্ছে জাতি ধর্ম বর্ণ গোত্র নারী পুরুষ নির্বিশেষে রাজনৈতিক দল আদর্শ পদমর্যাদা গোষ্ঠী ব্যক্তি সর্বক্ষেত্রে সমান অধিকার নিশ্চিত করা এবং সমান অধিকার প্রাপ্তিই মানবাধিকার। একবিংশ শতাব্দীর গ্লোবালাইজেশনের যুগে যুদ্ধ-বিগ্রহের আবহে আমরা একে অপরকে মূল্যায়ন করি। আবদ্ধ হই অধিকারের মেলবন্ধনে।
মানুষের অধিকার রক্ষায় কাজ করি এবং অধিকার সম্বন্ধে প্রত্যেককে সচেতন করি।
লেখা….
কলিম উদ্দিন