ফরিদপুর জেলা একাদশের সঙ্গে ব্যারিস্টার সুমন ফুটবল একাডেমির খেলা উপভোগ করেছেন হাজারো দর্শক। শনিবার (১৫ জুলাই) বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে খেলা শুরু হয়। শহরের শেখ জামাল স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসন এ খেলার আয়োজন করে।
খেলা শুরুর আগে সারা মাঠ ঘুরে উপস্থিত দর্শকদের ‘সুমন, সুমন’ ধ্বনির জবাব দেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। এ সময় শত শত ভক্ত তার সঙ্গে সেলফি তোলেন।
খেলা পরিচালনা করেন সাইফ দোহা। তাকে সহযোগিতা করেন মিনার বিশ্বাস, রেজাউল করিম ও জহুরুল ইসলাম। খেলার ধারাভাষ্য দেন ফরিদপুর জেলা পুলিশের উপপরিদর্শক আনোয়ার হোসেন। খেলায় ফরিদপুর জেলা ফুটবল একাদশের জার্সির রঙ হলুদ-আকাশি ব্যারিস্টার সুমন ফুটবল একাডেমির জার্সির রঙ সাদা। ব্যারিস্টার সুমনের জার্সি নং ১০।
খেলা উপলক্ষে দুপুর দেড়টা থেকে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে ক্রীড়াপ্রেমী দর্শকরা বাস, ট্রাক, নসিমন, অটোবাইক ও মোটরসাইকেলে করে শেখ জামাল স্টেডিয়ামে ভিড় জমাতে থাকে। মাঠের চারদিকের গ্যালারিতে দর্শকদের পাশাপাশি অতিথিদের বসার জন্য ছাউনিতে স্কুলড্রেস পরে শিক্ষার্থীদের খেলা উপভোগ করতে দেখা গেছে। খেলায় মাদকের কুফল সম্পর্কে বিভিন্ন জনসচেতনতা বিষয়ক প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেছে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এ খেলা শেষে মালদ্বীপের বিপক্ষে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের জয়ে দারুণ গোলে সবার নজর কাড়া তরুণ ফরিদপুরের চরভদ্রাসনের সন্তান শেখ মোরসালিন ও একই ম্যাচে বাংলাদেশ দলের গোলরক্ষক আনিসুর রহমানকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে।
মাদারীপুরের শিবচরের থেকে খেলা দেখতে এসেছেন সুজন মাহমুদ (৩১) নামে এক যুবক। তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যারিস্টার সুমনের অনেক কার্যক্রম দেখেছি। আজ মূলত সরাসরি তাকে দেখার জন্যই মাঠে এসেছি।
ভাঙ্গার হামিরদী ইউনিয়নের মুনসুরাবাদ গ্রামের বাসিন্দা কাজী আরিফ (২৩) শহরের পূর্ব খাবাসপুর মহল্লার একটি ছাত্রাবাসে থেকে লেখাপড়া করেন। তিনি বলেন, ব্যারিস্টার সুমন এর আগে ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে এসে খেলে গেছেন। সেবার না জানতে পারায় পরে আক্ষেপ করেছি। এবার ফরিদপুর শহরে খেলতে আসার কথা শুনে উত্তেজনা কাজ করছিল। আজকে রোদবৃষ্টি উপেক্ষা করে খেলা দেখতে ছুটে এসেছি।
ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার ফুলসূতি ইউনিয়নের ফুলসূতি গ্রাম থেকে আসা তরুণ নিয়াজুল ইসলাম (১৯) বলেন, ছোটবেলায় আমাদের মাঠে এই বর্ষার সময়ে অনেক বড় বড় ফুটবল খেলার আয়োজন হতো। এখন আর তেমনটা হয় না। সরাসরি এতবড় আয়োজনে ফুটবল খেলা অনেক বছর পর দেখলাম।
জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, আজকে বৃষ্টি উপেক্ষা করে এতো দর্শক উপস্থিতিই প্রমাণ করে ফুটবল খেলা এদেশে এখনো কত জনপ্রিয়। মাদক থেকে তরুণ ও যুব সমাজকে দূরে রাখতে এসব আয়োজন ভূমিকা রাখে। এজন্য এসব আয়োজন করতে আমাদের সমাজের কর্তাদের ভাবতে হবে।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান, ফরিদপুর পৌরসভার মেয়র অমিতাভ বোস, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক মোল্লা, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিটন ঢালী প্রমুখ।